শুক্রবার (২৬ মে) দুপুরে পর রাজধানীতে স্বল্প সময়ের জন্য হলেও বৃষ্টি নামে। তবে রাজধানীর সর্বত্র নয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ঢাকায় ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যদিনের মতো শুক্রবার নগরীর আকাশে সূর্যের তেজীভাব ছিলো না। পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে সকাল থেকেই আকাশ ছিলো মেঘলা। তা ঢেকে দিচ্ছিলো সূর্যের তাপ। নগরীতে বৃষ্টি হতে পারে সকাল থেকেই ধারনা করা হচ্ছিলো। তাপদাহ থেকে মুক্তি মিলবে নগরবাসীর। রাজধানীর কোনও কোনও স্থানে সে প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো বিকেল চারটার পর। এসময় পড়তে শুরু করে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি।
বিশেষ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বিশেষ করে মহাখালী, বনানী, গুলশান ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টিপাত প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানীর উত্তর ভাগটিতে বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সন্ধ্যার পর থেকে দক্ষিণ ভাগটাতেও বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। হাফিজুর বলেন, ‘এমন বৃষ্টিপাত কয়েকদিন চলবে। তীব্র তাপদাহ থাকবে না। এটা ধীরেধীরে কমতে থাকবে। ’
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানে আকাশ আংশিক মেঘলা রয়েছে।
রংপুরের রাজারহাটে ৭০ মিলিমিটার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। একই সঙ্গে রংপুরের ডিমলায় ৪০, রংপুর সদরে ২১, তেতুলিয়ায় ১৪, সিলেটে ৩৬, ময়মনসিংহে ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে তাপদাহে এখনও পুড়ছে রাজশাহী, পাবনা, রাঙামাটি, চাঁদপুর নোয়াখালী ও কক্সবাজার অঞ্চল। তবে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসব অঞ্চলেও দেখা মিলবে স্বস্তির বৃষ্টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭
এমআইএস/বিএস