সোমবার (০৯ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স রিভার ফেস্টিভ্যাল-২০১৭’-এর সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি।
‘সেলিব্রেশন দ্য কমন রিভারিন হেরিটেজ অব দ্য বে অব বেঙ্গল’ শীর্ষক এ সেনিমার যৌথভাবে আয়োজন করে এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স ও ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ।
সমাপনী অধিবেশনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ধর্ম, লোকাচার, বিশ্বাস, রাজনীতি, অর্থনীতি, খ্যাদ্যাভাস-সব কিছুতেই এক রকম মিল রয়েছে। সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, লেন-দেন, পারস্পরিক বোঝা-পড়ার মধ্যে রয়েছে সামঞ্জস্যতা। আর এগুলো যেন আমাদের শিখিয়েছে হিমালয় পর্বত থেকে নেমে আসা অভিন্ন নদীগুলো।
এই নদীগুলো উপমহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে উল্লেখ করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ‘রিভার শেয়ারিং’ উপমহাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বাংলাদেশে-ভারত সম্পর্কের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। কেবল-অর্থনীতির ক্ষেত্রে নয়, এ দু’দেশের কৃষ্টি, কালচার, সংস্কৃতির জন্যও তা অর্থবহ ভূমিকা পালন করে আসছে।
বাংলাদেশ-ভারতের অভিন্ন নদীগুলো রক্ষায় দুই দেশের সরকার, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আজকের পরিস্থিতিতে এই নদী সম্মেলন খুবই অর্থবহ, শক্তিশালী ও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি। সবাই মিলে এই ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করলে আমাদের নদী বাঁচবে, আমরা বাঁচব।
সমাপনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন এমএকেএআইএএস’র সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. শ্রীরাধা দত্ত। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’র এএসএম শামসুল আরেফিন।
এর আগে একই ভেন্যুতে ‘নদী ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সমুদ্র গুপ্ত, হিন্দুস্তান টাইমসের জয়নাথ জ্যাকব, একুশে টেলিভিশনের মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, অক্সফাম’র কান্ট্রি ডিরেক্টর এম. বি আক্তার ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারু্জ্জামান খান কবির বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৭
এজেড/এমজেএফ