ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

নামিবিয়ায় অ্যানথ্রাক্সে শতাধিক জলহস্তীর মৃত্যু!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
নামিবিয়ায় অ্যানথ্রাক্সে শতাধিক জলহস্তীর মৃত্যু! মৃত জলহস্তী

নামিবিয়ার বাবাটা ন্যাশনাল পার্কের একটি অগভীর জলাশয়ে অসংখ্য মৃত জলহস্তী ভাসতে দেখা যায়। অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাবে এসব জলহস্তীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

স্থানীয় একজন রেঞ্জার জানান, এ অঞ্চলে গত রোববার (৮ অক্টোবর) থেকে মোট ১০৯টি জলহস্তীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত জলহস্তীগুলোকে উল্টো হয়ে জলাশয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

বাবাটা ন্যাশনাল পার্কের ডেপুটি ডিরেক্টর বলেন, আমরা সন্দেহ করছি অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাবে এসব জলহস্তী মারা গেছে। আমাদের প্রাণী চিকিৎসকরা এ বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।

জানা যায়, স্থানীয় গ্রামগুলোতে এসব মৃত জলহস্তীর মাংস না খাওয়ার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কিন্তু কুমিরসহ অন্য মাংসাশী প্রাণীরা মৃত জলহস্তীর মাংস খেয়ে চলেছে। তাই এ রোগ জলহস্তী ছাড়াও অন্য প্রাণীর মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে।

নামিবিয়ায় জলহস্তীর সংখ্যা প্রায় ১৩শ। গত কয়েকদিনের মৃত জলহস্তীর সংখ্যা বলে দেয় এ অঞ্চলের অধিকাংশ জলহস্তীই এখন অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত। মৃত জলহস্তীর সংখ্যা আরও বাড়বে ধারণা করা হচ্ছে।  

মৃত জলহস্তীজানা যায়, নামিবিয়ায় অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব নতুন কোনো ঘটনা নয়। স্থানীয় কাভাঙ্গো নদীর পানি কমে এলে আশপাশের বন্যপ্রাণীরা এ রোগে আক্রান্ত হয়। এসব বন্যপ্রাণী থেকে রোগটি মানুষেও সংক্রমিত হয়ে থাকে।  

অ্যানথ্রাক্স একপ্রকার ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ। সুপ্ত অবস্থায় এ রোগের জীবাণু শতাব্দীর পর শতাব্দী টিকে থাকতে পারে। নিঃশ্বাসের সঙ্গে, ত্বকের ক্ষত দিয়ে, কিংবা খাদ্যের মাধ্যমে এই জীবাণু দেহে প্রবেশ করে পুনরায় সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে।  

আক্রান্ত প্রাণীর সংস্পর্শে বা আক্রান্ত প্রাণীর মাংস খাওয়ার ফলে অ্যানথ্রাক্স মানুষের শরীরে সরাসরি সংক্রমণ হতে পারে। অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু টেস্ট টিউব পদ্ধতিতে তৈরি করা যায়, যা জৈবিক অস্ত্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।