পরে স্থানীয় বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এই মৃত মায়া হরিণটিকে জব্দ করে রেঞ্জ কার্যালয়ে নিয়ে আসে। এ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২২ অক্টোবর) দিনগত রাত সাড়ে দশটায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভাড়াউড়া চা বাগানের গাড়িচালক মধু ও তার বাবা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রাথমিকভা্বে সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের বসতবাড়ির এলাকা থেকে মৃত হরিণটিকে খুঁজে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা নিশ্চিত হয়ে যখন ভাড়াউড়া চা বাগানের মধু ড্রাইভারের বাড়িতে তল্লাশি চালাই। তখন তারা আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পার্শ্ববর্তী প্রকাশ হাজরার বাড়ির ওয়াল টপকিয়ে মৃত হরিণটিকে ফেলে দেয়।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ইনফর্মার তখন আমাদের এই বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে জানালে আমরা প্রকাশ হাজরার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাদের ফেলে দেওয়া মৃত হরিণটি জব্দ করে আমাদের অফিসে নিয়ে আসি। মধু ড্রাইভার আমাদের কাছে বলেছেন- তার বাবা নাকি পার্শ্ববর্তী রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে গলা কাটা অবস্থাতেই হরিণটির নিয়ে এসেছেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু মুসা সামসুল মুহিত চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বনবিভাগের লোকজন গোপন সূত্রের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এটি জব্দ করেছেন।
এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণি আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
বিবিবি/এএটি