ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

‘নদীর জমি হস্তান্তর অযোগ্য’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
‘নদীর জমি হস্তান্তর অযোগ্য’ আলোচনা সভা, ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: নদীর জমি হস্তান্তর অযোগ্য বলে জানিয়েছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সবুজ আন্দোলন আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পানি দূষণ রোধে ইটিপি ফর্মুলা বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক করণ’ শীর্ষক এক আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।

মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, নদীর জমি ‘খাস জমি’ নয়, নদীর জমি নদীর খাস জমি।

আইন অনুসারে তা হস্তান্তর যোগ্য নয়। উন্নয়নের নামে নদী-নালা, খাল-বিল বিলুপ্ত করা যাবে না। এছাড়া এটি কাউকে দেওয়াও যাবে না।

নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, বায়ুদূষণের দিক থেকে এখনও আমরা বিশ্বের  অনেক উন্নত দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছি। সমগ্র বিশ্বে আমরা বায়ুদূষণ করি মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য দুই শতাংশ। বাকিটা উন্নত বিশ্ব। কিন্তু আমাদের পানি দূষিত হচ্ছে অনেক বেশি। এটি আগেও ছিল, এখনও আছে। তবে এখন বর্জ্য বেশি হওয়ায় দূষণও বেশি হচ্ছে। আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পরিকল্পিত উপায়ে সবাই মিলেই আমাদের এ দূষণরোধে কাজ করতে হবে।

আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন সবুজ আন্দোলনের চেয়ারম্যান বাপ্পি সদ্দার। এসময় শান্তা মরিয়ম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী এনামুল হক, মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ এবং শিক্ষাবিদরা উপস্থিত ছিলেন।

তারা বলেন, আমাদের প্রজন্মের প্রয়োজনে নদীগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বর্জ্য অপসারণে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনার প্রয়োজন। সবকিছু মিলিয়ে যদি আমরা ঢাকা শহরের মধ্যেই দশটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি করতে পারি তবে সেটিও আমাদের নদীর দূষণরোধে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
এসএমএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।