নিজেদের ঘর-বাড়ি এবং ঘরের আসবাবপত্র ও সম্পদ ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে না চাইলে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)সহ স্বেচ্ছাসেবকরা অনুরোধ করে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান বলেন, সম্ভাব্য সবধরনের ক্ষতি এড়াতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সোনাগাজী পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের পাশে থাকার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী নির্দেশ দিয়েছেন। সে আলোকে আমরা মাঠে রয়েছি। চরাঞ্চল থেকে মানুষকে আমরা নিরাপদে আনতে সক্ষম হয়েছি।
এদিকে, সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অজিত দেব বলেন, ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনাসহ জনগণকে সর্তক করার লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় সোনাগাজীতে অর্ধশত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রসহ উপজেলার সবকয়টি বিদ্যালয়কে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উপজেলায় একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এছাড়া ১০টি চিকিৎসক দল, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগকালীন উদ্ধার তৎপরতাসহ বিভিন্ন কাজের জন্য সিপিপির দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ ২ হাজার কর্মী প্রস্তুত রয়েছে। মজুদ রাখা হয়েছে শুকনো খাবার।
আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষ থাকার পাশাপাশি, ভিন্ন স্থানে গৃহপালিত পশুগুলো রাখারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানমালের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।
ইউএনও অজিত দেব বিপন্ন এলাকার মানুষদের সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
এসএইচডি/আরবি/