ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

শ্রীমঙ্গলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা, আজও দেখা মেলেনি সূর্যের

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
শ্রীমঙ্গলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা, আজও দেখা মেলেনি সূর্যের শ্রীমঙ্গলের চায়ের বাগানের ঘন কুয়াশা। ছবি : বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন

মৌলভীবাজার: শীতের তীব্রতা বিরাজ করছে এখন চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। একইসঙ্গে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। বিশেষ করে চা-বাগান এলাকায় শীতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি। চা-গাছগুলো ঘন কুয়াশার আবরণে ঢাকা পড়েছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া কার্যালয় জানাচ্ছে, উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে, সারাদেশের তাপমাত্রা শনিবারও ফরিদপুর জেলায় ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

উপজেলায় সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও এখনো সূর্যের দেখা মেলেনি। এর আগে ভোরে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিলো উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। সূর্য না উঠায় উপজেলায় ঠাণ্ডার তীব্রতাও বেড়েছে কিছুটা।

এদিকে সামাজিক সংগঠনগুলো উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী জাহিদুল ইসলাম মাসুম বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উপজেলায় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। দুপুরেও সূর্যের দেখা না পাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। তাছাড়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণেও শীত বেড়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে শীত আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।  

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিলো দুই দশমিক আট ডিগ্রি এবং ১৯৬৬ সালের ২৯ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো তিন দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে ১৯৯৫ সালের ৪ জানুয়ারি, ২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি, ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিলো চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে কিছু শীতবস্ত্র এসেছে। এগুলো নয়টি ইউনিয়নের শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।  

শ্রীমঙ্গল হেলথ কমপ্লেক্সের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। আমরা তাদের দ্রুত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে, সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমাদের নিজেকেও সচেতন থাকতে হবে। সরাসরি ঠাণ্ডা পানি পান না করে কুসুম গরম পানি পান করতে হবে। মাফলারসহ গরম পোশাক পরিধান করা এবং যতটা সম্ভব ঠাণ্ডা না লাগানো।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।