ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

শ্রীমঙ্গলে বসন্তে ‘শীতের কুয়াশা’ 

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
শ্রীমঙ্গলে বসন্তে ‘শীতের কুয়াশা’ 

মৌলভীবাজার: চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল অসময়ে ঢাকছে শীতের কুয়াশায়। ক’দিন আগেই প্রকৃতিতে ঋতুরাজ বসন্ত এসে ভর করেছে। গাছে গাছে চোখ মেলতে শুরু করেছে ফুলের দল। শীতের আড়ষ্টতাকে মুছে নিয়ে নতুন করে সুসজ্জিত হতে প্রস্তুত এখন প্রকৃতি। 

তবে ধীরে ধীরে শীতের তীব্রতা কমে গেলেও দাপট কমেনি কুয়াশার। ভোর থেকেই কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে যায় এই চা শিল্পাঞ্চলের সবুজ বাগানসহ শহরতলী।

অথচ শীতেও এত কুয়াশা পড়েছে খুব কম দিন।   

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রোববার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেতুলিয়ায় ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী মো. জাহেদুল ইসলাম মাসুম বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার ছিল ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা এখন বাড়তে থাকবে।  

তিনি আরো বলেন, রোববার উত্তরাঞ্চলে কুয়াশার প্রভাবটা খুব বেশি ছিল। আজ সে প্রভাবটা এদিকে এসে পড়েছে। আকাশে মেঘ থাকার ফলে শীতের কনকনে ভাব আর থাকবে না। তাপমাত্রা এখন ক্রমশ বাড়বে। শৈত্যপ্রবাহ কিছুদিন আগেই প্রকৃতি থেকে বিদায় নিয়েছে। কুয়াশা ও আকাশে মেঘ থাকলে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে; কখনো কমে না।  

ভৌগলিক বায়ুর অবস্থা পরিবর্তন হয়ে গেছে উল্লেখ করে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, এখন কিন্তু উত্তরদিক থেকে ঠাণ্ডা বাতাস আসে না। উইন্ড ডিরেকশন (শীতের নির্দেশনা) এখন চেঞ্জ (পরিবর্তন) হয়ে গেছে। উত্তর দিক থেকে বাতাস এখন আর প্রবাহিত হয় না। আগে উত্তরদিক অর্থাৎ, হিমালয় কিংবা সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে শুষ্ক বাতাসের সঙ্গে কনকনে শীত আসতো। এখন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে গরম বাতাস প্রবাহিত হওয়া শুরু হয়ে গেছে। বঙ্গোপসাগর থেকে বাতাস আর্দ্রতা নিয়ে আসে। এজন্যই গরমভাব অনুভূত হয়। সামনেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশে মেঘ থাকার ফলে তাপমাত্রা প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকবে।

মার্চ মাসের শুরু থেকেই কালবৈশাখী শুরু হয়ে যাবে বলে জানান এ জাহেদুল ইসলাম মাসুম।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
বিবিবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।