ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

সামুদ্রিক মাছের ওপর চাপ কমাতে শৈবাল চাষের বিকল্প নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২২
সামুদ্রিক মাছের ওপর চাপ কমাতে শৈবাল চাষের বিকল্প নেই

কক্সবাজার: সামুদ্রিক মাছের ওপর চাপ কমাতে এবং দেশকে সুনীল অর্থনীতিতে এগিয়ে নিতে শৈবাল চাষের বিকল্প নেই। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করতে সামুদ্রিক শৈবাল গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করেছেন সামুদ্রিক মৎস্য গবেষকরা।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে রামুর বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে কক্সবাজার উপকূলে সামুদ্রিক শৈবালের পরীক্ষামূলক চাষ বিষয়ক এক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি শেখ আবিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেরিন সাইন্স অ্যান্ড ফিশারিজের ডিন প্রফেসর ড. রাশেদ উন নবী।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সুনীল অর্থনীতিতে সামুদ্রিক শৈবাল অপার সম্ভাবনাময় একটি উপাদান। এর ব্যবহার সারা বিশ্বে রয়েছে। মালয়েশিয়াতে শৈবাল বা সিইউড একটি মূল্যবান পণ্য। বিশ্বের অনেক দেশে এই পণ্যকে খাদ্যের অংশ হিসেবে রাখা হয়। বাংলাদেশে এর ব্যববহার আগে তেমন দেখা না গেলেও বর্তমান সময়ে এটি একটি জনপ্রিয় পণ্য হয়ে উঠছে। বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে শৈবালকে খাবার হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়া সামুদ্রিক মাছের ওপর চাপ কমাতে শৈবাল খাবার হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। ’

প্রফেসর ড. রাশেদ উন নবী আরো বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে সামুদ্রিক এই পণ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। দেশের অভ্যন্তরে এর চাহিদা মেটানোর পর বিদেশেও রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। ’

এসময় শৈবাল চাষের প্রকল্প পরিচালক শিমুল ভুঁইয়া, সমুদ্র গবেষণা ইনিস্টিউটের  বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাইদ মো. শরীফ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশানোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুল আলম, অধ্যাপক এনামুল হকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।  

এ কর্মশালায় কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চলের অর্ধশতাধিক শৈবাল চাষি অংশ নেয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২২
এসবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।