ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

সরকারি খালের মাটি বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায়!

মো. নিজাম উদ্দিন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২২
সরকারি খালের মাটি বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায়!

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জে সরকারি একটি খালের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারা প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে খালের মাটির বাণিজ্য করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

অভিযুক্তরা হলেন-তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসাইন ইবনে ওমর ভুলুর ছোট ভাই এবং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আল মাহমুদ হোসাইন অনুপম, ইটভাটার মালিক রুবেল হাওলাদার এবং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য আফজাল হাওলাদারের ছেলে জয়নাল আবেদীন।  

এ তিনজনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কামাল উদ্দিন ও আবুল কালাম নামে স্থানীয় দুই ব্যক্তি।  

গত ২৮ মার্চ দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, 'ভুলুয়া পানি ব্যবস্থাপনা' কমিটির নাম ভাঙিয়ে সরকারি খাল থেকে ভেকু যন্ত্র দিয়ে মাটি খনন ও খাল পাড়ের গাছ কেটে বিক্রি করছেন তারা।  

অভিযোগের ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) সদর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আবদুল আল মামুনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।  

এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গ্রামের 'জিল্লুর রহিম' নামক খালটি প্রায় আড়াই কিলোমিটার ভুলুয়া পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির নাম ভাঙিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। সরকারি কোনো অনুমতি ছাড়াই স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রভাব খাটিয়ে ভেকু যন্ত্র দিয়ে খাল খননের নামে মাটি ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং খাল পাড়ে থাকা সরকারি গাছ কেটেও বিক্রি করেছেন তারা। এছাড়া খাল পাড়ের রাস্তা কেটে মাটি বিক্রি করার কারণে জনসাধারণের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।  

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভুলুয়া পানি ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও যুবলীগ নেতা আল মাহমুদ হোসাইন অনুপম বলেন, কৃষকদের চাষাবাদে পানি নিষ্কাশনে সমস্যার কথা ভেবে আমরা বিগত তিন বছর আগে খাল খননের জন্য আবেদন করি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোনো কর্ণপাত করেনি। কৃষকদের কথা ভেবে আমরা পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির একটি জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে খাল খনন শুরু করি। তবে খালের মাটি ইটভাটায় বিক্রির বিষয়টি সত্য নয়।  

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন বলেন, অনুমতি ছাড়া খাল খনন করে ইটভাটায় মাটি বিক্রি ও খাল পাড়ের গাছ কেটে বিক্রির লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২২
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।