ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

এ মাসে আরও অতিবৃষ্টি, সতর্ক করল সিসিক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২২
এ মাসে আরও অতিবৃষ্টি, সতর্ক করল সিসিক

সিলেট: বিশ্ব ব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সিলেটে অতিবৃষ্টি, তীব্র তাপদাহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত, বন্যা, খরা এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে সবাইকে ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করার আহ্বান জানান সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

সিসিক মেয়র বলেন, শনিবার রাতের অল্প সময়ে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টির ফলে সাময়িক দুর্ভোগ হয়েছে নগরবাসীর। এমন পরিস্থিতির আগাম সতর্কবার্তা পাওয়া যায়নি।

তবে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন, এ মাসেই বেশি ঘনত্বের বৃষ্টিপাতের আরও সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আমরা আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে সিসিক।

রোববার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় নগর ভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিসিক মেয়র এসব কথা বলেন।

এমন অজানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সিসিক উদ্যোগ নেবে বলেও জানান তিনি।    

মতবিনিময় সভায় শনিবার রাতের রেকর্ড বৃষ্টিপাতের বর্ণনা দেন সিলেটের আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, রাত ১১টা ২ মিনিট থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। রাত ১২টায় অর্থাৎ মাত্র ৫৮ মিনিটে ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। ওইদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত ১৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। যা সাম্প্রতিক সময়ে কম সময়ে বেশি পরিমাণ বৃষ্টির রেকর্ড। মাত্র ৬ ঘণ্টা ৫৮ মিনিট সময়ে ১৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড অতি প্রাকৃতিক বিষয় বলেও তিনি জানান।

কম সময়ে এত বেশি পরিমাণ বৃষ্টিপাতের ফলে সাময়িক জলাবদ্ধতা ও আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সিলেট সিটি করপোরেশন আয়োজিত জরুরি মতবিনিময় সভায় এই আবহাওয়াবিদ বলেন, বিশ্ব ব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে চলতি বছরের এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে।

সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় সিলেটের সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ, দফতর সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সিসিক কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বকস, সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, মো. ছয়ফুল আমীন, রকিবুল ইসলাম ঝলক, আব্দুল মুহিত জাবেদ, সিকন্দর আলী, তারেক উদ্দিন তাজ, এম এম শওকত আমীন তৌহিদ, তাকবির ইসলাম পিন্টু, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, শাবিপ্রবি’র অধ্যাপক ড. মো. জহির বিন আলম, সিসিকের সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইনামুল কবীর, জালালাবাদ গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোয়েব আহমেদ মতিন, আইইবি সিলেটের চেয়ারম্যান মো. জয়নাল ইসলাম চৌধুরী, সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পিডিবি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফজলুল করীম, নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ, আওবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী।

আরও উপস্থিত ছিলেন পাউবো’র উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা, বিটিসিএল সিলেটের উপ মহাব্যবস্থাপক মিহির রায়, ব্যবস্থাপক-২ মো. আব্দুল মান্নান, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ সিলেটের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী বাদল কুমার মন্ডল, পিডিএসডিপি’র কনসালটেন্ট মো. কাইয়ূম হোসেন, সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামছুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস ছোবহান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হানিফুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী জয়েদেব বিশ্বাস, আরবান প্লানার মো. তানভীর রহমান মোল্লা, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ, প্রকৌশলী রাজি উদ্দিন খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২২
এনইউ/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।