ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ভোলার ১২ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ৩০ হাজার মানুষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২২
ভোলার ১২ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ৩০ হাজার মানুষ

ভোলা: নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলায় মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে দুই-তিনদিন ধরে ভোলার রাজাপুর ও ধনিয়া ইউনিয়নের ১২ গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

রাস্তাঘাট, বসতভিটা তলিয়ে যাওয়ায় গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন তারা। অনেকের ঘরে রান্নাও চলছে না।  

বুধবার (১০ আগস্ট) মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।  জোয়ার এলেই বার বার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এসব এলাকার মানুষ। কিন্তু তাদের জন্য আজও নির্মিত হয়নি বিকল্প বাঁধ।

স্থানীয়রা জানান, দ্বিতীয় দিনের মত জোয়ারের পানিতে বসতভিটা, রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ জনপদ তলিয়ে গেছে। অনেকের রান্নাঘরে পানি উঠেছে। টিউবওয়েলও পানির তলায়। ফলে সুপেয় পানির কষ্ট হচ্ছে অনেকে। আবার অনেকের ঘরে চুলা জ্বলছে না, ভিজে স্কুলে যেতে হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের। এছাড়া পানিতে ভসে গেছে অনেকের হাঁস-মুরগিসহ গৃহপালিত পশুপাখি। এমন দুর্ভোগে দিন কাটালেও কেউ তাদের খবর নেয় না।

রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা জান্নাত বেগম বলেন, পানিতে আমাদের ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। ঘরে রান্না করতে পারছি না। উঠানে পানি উঠেছে অনেক বাড়ির। সব সময় শিশুরা পড়ে গেল কি না, ভয়ে থাকতে হয়। সেই সঙ্গে রয়েছে সাপ, পোকার ভয়।  

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মাসুদ রানা বলেন, জোয়ারের চাপ অনেক বেশি। এতে রাজাপুর ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।

ধনিয়া এলাকার বাসিন্দা ডা. মো. মহিউদ্দিন বলেন, জোয়ারের চাপে বাঁধের বাইরের অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অনেক মানুষ দুর্ভোগে আছেন।

এদিকে এক যুগের বেশি সময় ধরে নদীর তীরে বসবাস করে আসছেন এসব মানুষ। কিন্তু বাঁধের বাইরে থাকায় তাদের জোয়ার-ভাটার টানাপোড়েনে জীবন কাটাতে হচ্ছে। গত মঙ্গলবার থেকে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ডুবে গেছে ইলিশা ফেরিঘাটও।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, আমরা ওই গ্রামগুলোতে বিকল্প বাঁধ মেরামতের কথা ভাবছি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তবনা পাঠাব।

এদিকে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ হলে বন্যা দুর্গত মানুষের কষ্ট লাঘব হবে মনে করছেন ভোলাবাসী।

বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২২
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।