ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বাগেরহাটে জোয়ার-বৃষ্টিতে ৮ হাজার মাছের ঘেরের ক্ষতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
বাগেরহাটে জোয়ার-বৃষ্টিতে ৮ হাজার মাছের ঘেরের ক্ষতি

বাগেরহাট: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ঠ লঘুচাপ, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি ও টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে বাগেরহাটে অন্তত ৮ হাজার মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে চাষিদের তিন কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়া ঘেরের পাড় ও খেতে থাকা মৌসুমি সবজির বেশ ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ও জোয়ারে পানি বাড়ায় বাগেরহাট সদর, রামপাল, মোংলা ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘের তলিয়ে মাছ বের হয়ে গেছে। পানি জমে সবজি গাছের শিকড় পচে গেছে। পানি কমার সঙ্গে শিকড় পচা গাছগুলো মারা যাবে। অনেক এলাকায় পানির নিচে তলিয়ে গেছে আমন ধান। এই অবস্থায় চরম ভোগান্তি ও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন সবজি ও মাছ চাষিরা।

সদর উপজেলার মাঝিডাঙ্গা এলাকার চিংড়িচাষি মুন্না শেখ বলেন, জোয়ারের পানিতে গ্রাম রক্ষা বাঁধ ভেঙে আমাদের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আমার দুই বিঘা ঘের তলিয়ে বাগদা ও গলদা চিংড়ি বেরিয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।

মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতা গ্রামের রাকিব খান বলেন, ঝড় জলোচ্ছ্বাস আসলেই আমাদের  ক্ষতি হয়। ধান ও মাছ চাষ করে আমাদের এলাকার মানুষেরা জীবিকা নির্বাহ করেন। এবারের পানিতে যেমন আমাদের ঘেরের মাছ চলে গেছে, তেমনি আমনের জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি ফকির মহিতুল ইসলাম সুমন বলেন, এ বছর মৌসুমের শুরুতে ভাইরাসে মড়ক লেগেছিল। কয়েকদিনের বৃষ্টি ও জোয়ারের প্রভাবে অনেক ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিংড়ি চাষিদের টিকিয়ে রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস.এম রাসেল বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় ৮ হাজার মাছের ঘের ও পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। তবে বৃষ্টি যদি অব্যাহত থাকে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

বাংলাদেশ  সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।