ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: পটুয়াখালীতে প্রস্তুত ৭০৩ আশ্রয় কেন্দ্র, ২৬ মুজিব কেল্লা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: পটুয়াখালীতে প্রস্তুত ৭০৩ আশ্রয় কেন্দ্র, ২৬ মুজিব কেল্লা

পটুয়াখালী: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় পটুয়াখালীতে জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে জেলা প্রশাসন।

রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) দরবার হলে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় পুলিশ সুপার (এসপি) সাইদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. মো. এস এম কবির হাসানসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আসন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে।

জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন সেল্টার ও ২৬টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি বহুতল ভবনগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া গৃহপালিত প্রাণীদের জন্যও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দুর্যোগের সময় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫ শ নগদ টাকা এবং ৩ শ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। এছাড়া সরকারের কাছ থেকে নগদ ২৫ লাখ টাকা এবং ২০ হাজার প্যাটেক শুকনো খাবারের চাহিদা পত্র দাখিল করা হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য ৭২টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে।

আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে পূর্ব-মধ্যবঙ্গে পসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও সামন্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

রোববার দপুর ১২টা পর্যন্ত নিম্নচাপটি পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

পটুয়াখালীর পায়রাসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ও মোংলা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ (তিন) নম্বর (পুনঃ) তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

নিম্নচাপের প্রভাবে পায়রাসহ দেশের সব সমুদ্র বন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে রোববার সকাল থেকেই পটুয়াখালীতে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে পরবর্তীতে বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

র্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৫-০৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশের দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।