তিনি বলেন, ধান কাটার মৌসুম শেষ, ক্ষেত খামারেও কাজ নেই। শীতের কারণে মানুষ ঘরবাড়ি মেরামত বা নির্মাণের কাজ করাতে চাচ্ছে না, তাই মিস্ত্রির কাজেও সংকট।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭ টায় সামসুদ্দিন মার্কেট চত্বরে এ এমনই চিত্র দেখা যায়।
ওই মার্কটে মানুষ কেনা-বেচার হাট বসে। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীত উপেক্ষা করে নিজেদের শ্রম বিক্রি করতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন শ্রমিকরা। পরে কাজের জন্য তাদের নির্দিষ্ট দামে কিনে নিয়ে যাওয়া হয়।
কথা হয় ওই হাটের শ্রমিক মাসুম, ওমর ফারুক, হাবিব ও মহিউদ্দিনের সঙ্গে। তারা বাংলানিউজকে বলেন তাদের মধ্যে কেউ কাঠমিস্ত্রি, রংমিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রি ও স্যানেটারি মিস্ত্রি। মূল মিস্ত্রি পান ৫/৬শ’ টাকা আর সহযোগী পান ৪০০/৪৫০টাকা। তাও প্রতিদিন কাজের নিশ্চয়তা নেই। কোনোদিন কাজ মেলে আবার কোনো দিন মেলে না। কিন্তু বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে, দিন মজুরের মজুরি বাড়েনি।
শীত উপেক্ষা করে হাটে আসা কাঠমিস্ত্রি মাসুম বলেন, বাবা-মায়ের অভাবের সংসারে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। তাই হাটে শ্রম বিক্রি করতে হয় তাকে। কিন্তু কাজ পাবেন কী পাবেন না তার নিশ্চয়তা নেই।
পশ্চিম ইলিশা থেকে আসা হাবিব জানায়, বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই সন্তানের সংসারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। শীতের মধ্যেও অনেক দূর থেকে এসেছেন, কিন্তু কাজ মেলেনি, শীতের সিজন খারাপ যাচ্ছে। এ সময় অক্ষেপ করে তিনি বলেন গরিবের আবার শান্তি।
শুধু মহিউদ্দিন ও হাবিব নয়, তাদের মতো শত শ্রমিক জড়ো হন এ ‘মানুষ কেনা বেচার হাটে। নিদিষ্ট দামে বিক্রি হন তারা। কাজ পেলে তাদের মুখে হাসি ফুটে, না পেলে মলিন মুখে অপেক্ষা করতে হয় পরবর্তি দিনের জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৮
ওএইচ/