উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হওয়ায় এই অবস্থা বিরাজ করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল হয়ে উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ধরে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, মৌসুমী বায়ু প্রবল থাকায় সাগরে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতার সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। তাই এসব এলকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) পর্যন্ত এক পূর্বভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সাতক্ষীরা, যশোর, কুষ্টিয়া, রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, রাজশাহী, ভোলা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সীতাকুন্ডু, ময়মনসিংহ, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাজশাহী ও সিলেটের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় এটা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহসহ কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। সোমবার (০৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ফেনীতে; ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে রাঙামাটিতে; ৬ মিলিমিটার।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯
ইইউডি/টিএ