বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মূলত বেলা ১২ টার বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই হিসেবে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত বরিশালে ২ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে এ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি যত উপকূলের দিকে ধেয়ে আসবে আবহাওয়া তত বিরূপ আকার ধারণ করবে। আর ঘূর্ণিঝড়ের বর্তমান অবস্থায় এটি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে, তবে দুর্বল হয়ে গেলে তা ভারতের উপকূলে গিয়ে আঘাত হানবে। আর এটি সাগরে যত বেশি অবস্থান করবে তত শক্তিশালী হয়ে ওঠার সম্ভবনা রয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পায়রা নদীবন্দরসহ সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। অপরদিকে, টানা বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। গণপরিবহনের সংখ্যা যেমন কম তেমনি যাত্রীর সংখ্যাও কম। এদিকে অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা না থাকায় সকাল থেকেই লঞ্চ চলছে, তবে যাত্রী সংখ্যা কিছুটা কম।
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা (যুগ্ম পরিচালক) আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, এখনও নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া রয়েছে। তাই এ মুহুর্তে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারছি না। তবে সংকেত পরিবর্তন হলে এবং আবহাওয়া খারাপ হলে বিপদ এড়াতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হতে পারে।
এদিকে বিকেল ৩ টায় বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ জরুরি সভা বরিশালের পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন করেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ঝালকাঠিতে সাইক্লোন সেল্টারসহ নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ত্রাণ সামগ্রীসহ সার্বিক সবকিছু।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এমএস/ওএইচ/