শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যার আগে থেকে বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশ্রয়কেন্দ্রে ভিড় বাড়তে থাকে। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার মানুষ জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
বিকেল সোয়া ৫টার দিকে মোরেলগঞ্জ উপজেলার দোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে দেখা যায় বেশ কিছু মানুষ আসছেন।
সেখানে লিপি বেগম নামে এক নারী বলেন, সন্তান নিয়ে আসছি। কিন্তু এখানে পানি নেই, খাবারের ব্যবস্থা নেই। এখানে এসে আরও বিড়ম্বনায় পড়েছি।
গুলবানু নামে অপর এক নারী বলেন, অনেক আগে এখানে আসছি। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরাও আসে নেই, সরকারি লোকও আসেনি। আমাদের সঙ্গে অনেক প্রতিবন্ধী মানুষও রয়েছে, এক ধরনের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে এখানে।
এছাড়া শরণখোলা, মোংলা ও রামপালের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রেও মানুষ যাচ্ছে। জেলা প্রশাসন আশা করছে সন্ধ্যার পরে রাত গভীর হওয়ার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সব মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসবেন।
রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান মিলন বলেন, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির খবর পাওয়ার পর থেকেই আমরা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রেখেছি। এলাকার অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গেছেন। অন্য যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে তাদেরও আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়-ক্ষতি কমাতে আমাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, বুলবুল’র ক্ষতি এড়াতে আমাদের ৩৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। লোকজন দুপুর থেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া শুরু করেছে। আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। আশা করছি তাদের কোনো সমসা হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
আরএ