বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমের সর্বোশেষ তথ্যানুযায়ী, রাত ১১টা পর্যন্ত বিভাগের ৬ জেলার প্রায় ১২ লাখ ৬৯ হাজার ৭৭৫ জন বেশি মানুষ (নারী-পুরুষ) ২ হাজার ৪৩৬ টি সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে। পাশাপাশি ৯৬ হাজার ১৭৭ টি গবাদিপশুর নিরাপদ আশ্রয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
তবে বরিশাল, ঝালকাঠিসহ উপকূলীয় জেলার পটুয়াখালীর অনেক স্থানে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে স্থানীয় প্রশাসনহ সেচ্ছাসেবকদের হিমশিম খেতে হয়েছে। তারপরও যারা আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছেন তাদের জন্য রাতেই পর্যাপ্ত খাবার সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। ভোলা ও পটুয়াখালী জেলার সাইক্লোন শেল্টারসহ অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্রে বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় প্রতিটি জেলায় জেলায় জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্বে এ বিষয়ে তদারকি করা হচ্ছে। এতে সহযোগিতা করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সিপিপি’র সদস্যসহ সেচ্ছাসেবকরা।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’র বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রশীদ জানান, দেশের উপকূলীয় এলাকার ১৩টি জেলার ৪১টি উপজেলায় সিপিপি’র মোট ৫৫ হাজার ৫১৫ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। এর মধ্যে পুরুষ ৩৭ হাজার ১০ জন এবং নারী ১৮ হাজার ৫০৫ জন।
তিনি বলেন, আমাদের মোট ৩৫৫টি ইউনিয়নে সিপিপি’র ৩ হাজার ৭০১টি ইউনিট রয়েছে। প্রতিটি টিমের সদস্যরা শুক্রবার (৮ নভেম্বর) থেকেই উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে। বৃদ্ধ, শিশু, গর্ভবতী মা এবং প্রতিবন্ধীদের আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করেছেন তারা।
এদিকে বিভাগের মধ্যে একমাত্র বরিশাল সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ৩০ টি ওয়ার্ডে দুর্গতদের জন্য ৯৭ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়। সন্ধ্যার মধ্যে যেগুলোতে সাধারণ মানুষ আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত হাসান বাবলু।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এমএস/ওএইচ/