শনিবার দিনগত রাত ১টা ৫মিনিটে মোংলাবন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অগ্রবর্তী অংশ সুন্দরবনের হিরণপয়েন্ট ও দুবলারচরে আছড়ে পড়েছে। বাতাসের তীব্রতা সেখানে সবচেয়ে বেশি।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ কিছুটা দুর্বল হয়ে সুন্দরবন উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটা আর দুই-তিন ঘণ্টা পর অতিক্রম শেষ হবে। এটি সাতক্ষীরা হয়ে খুলনার দিকে এসেছে।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চর থেকে দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দীন আহমেদ জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুন্দরবনের দুবলার চরে প্রথম ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানে। তিনি বলেন, এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটারের মধ্যে। তবে জলোচ্ছ্বাস হয়নি। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে আড়াই ফুট পানির উচ্চতা বেড়েছে।
এদিকে, দিনের তুলনায় সামান্য বেশি বৃষ্টিপাত ও হালকা-মাঝারি ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেলেও খুলনাঞ্চলের কোথাও তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি খবর পাওয়া যায়নি। থেমে থেমে বৃষ্টি-বাতাস ছাড়া বড় ধরনের কিছু হয়নি। উপকূলীয় লোকজন বেশির ভাগ ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদেই রয়েছেন। মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এমআরএম/ওএইচ/