মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জেলার লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলা ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।
দেখা যায়, এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
ক্ষতিগ্রস্তরা বাংলানিউজকে জানান, এখনও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণের টিন ও শুকনো খাবার বিতরণ হয়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। একেকটি পরিবারের গড়ে ২ থেকে ৫ লাখ টাকার ওপরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকের টিনের চালা উড়িয়ে নিয়েছে। অনেকের ফসলের ক্ষেত নষ্ট ও মাছের ঘের হারিয়ে নিস্ব হয়েছেন।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাবিবুল হাসান রুমি বাংলানিউজকে জানান, ৫৪ পরিবারকে চিহ্নিত করে তাদের মাঝে ২০ কেজি করে চাল, নগদ ৬ হাজার টাকা এবং দুই বান্ডেল করে টিন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এসব পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, চরফ্যাশনে ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ পরিবারকে সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে নগদ টাকা বিতরণ করেছেন।
ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক জানান, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার ১৬০ পরিবারকে নগদ ৬ হাজার করে টাকা, দুই বান্ডেল করে টিন এবং শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ট্রলার ডুবিতে নিহত হয়েছেন ১০ জন। এছাড়া ১০ কোটি টাকার মাছ এবং ৫৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
ওএইচ/