ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

উপকূল থেকে উপকূল

ইয়াসের প্রভাবে শরণখোলায় পানিবন্দি ৩ হাজার পরিবার 

এস.এস.শোহান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২১
ইয়াসের প্রভাবে শরণখোলায় পানিবন্দি ৩ হাজার পরিবার 

ভোলানদীর তীরবর্তী শরণখোলা গ্রাম থেকে: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ভোলানদীর তীরবর্তী শরণখোলা উপজেলার পাঁচটি গ্রামের তিন হাজার পরিবার। রাতের বৃষ্টি ও সকালের জোয়ারে বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা  এসব গ্রামের অংশ বিশেষ প্লাবিত হয়েছে।

এসব মানুষের শোবার ঘর, রান্নাঘরসহ সব জায়গা পানিতে তলিয়ে গেছে। চরম বিপাকে পড়া এসব মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।  

শরণখোলা গ্রামের মো. আবুল কালাম শিকদার বাংলানিউজকে বলেন, রাতের বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ভোলানদীর পানি বেড়ে যায়। সকালের জোয়ারে বাড়িঘর সব তলিয়ে যায়। শুধু পানি নয় ঢেউয়ে ঘরের পোতাও নষ্ট হয়ে গেছে।

খুড়িয়াখালী গ্রামের মো. ইদ্রিস খলিফা, নেয়ামুল জমাদ্দারসহ কয়েকজন বাংলানিউজকে বলেন, রাতেও বুঝতে পারনি এতো পানি হবে। সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ পানি এসে আমাদের বাড়ি-ঘর তলিয়ে যায়। সবাইকে নিয়ে রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছি। ভাটিতে পানি কমলে বাড়ি যাবো। না হয় রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হবে।

চরগ্রামের জলিল গুরু ও সাইদুল শিকদার বাংলানিউজকে বলেন, বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতিটি ঝড়েই আমাদের ডুবতে হয়। মূল্যবান মালামাল নষ্ট হয়। হাঁস, মুরগি মারা যায়। সকালের হঠাৎ পানিতে চরগ্রামের সবার বাড়ি ঘর তলিয়ে গেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু মুন্সি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আশপাশের পাঁচটি গ্রামের অন্তত ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নদীর পাশে বাড়ি হওয়াই আমাদের কাল হয়েছে।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বৃদ্ধি পাওয়া পানিতে শরণখোলা উপজেলার কিছু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আমরা তাদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করবেন। তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ লিখে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

 

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।