ঢাকা: বাংলাদেশ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২৩’-এর ডাক ও টেলিযোগাযোগ পদক-২০২৩ জিতেছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে অবদান রাখায় নগদকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে ‘নগদ’র করপোরেট কমিউনিকেশনের ডিরেক্টর মোহাম্মদ সোলাইমান এবং হেড অব পাবলিক কমিউনিকেশন্স মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের কাছ থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ইলেকট্রনিক কেওয়াইসি ও *১৬৭# চেপে অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি উদ্ভাবন করে নগদ একটা বিপ্লব করেছে। আমরা যে উদ্ভাবনী শক্তির কথা বলছি, তা করে দেখিয়েছে ডাক বিভাগের এ সেবাটি। সেজন্যই তাদের সম্মানিত করা। ’
পুরস্কার গ্রহণের পর নগদের করপোরেট কমিউনিকেশনের ডিরেক্টর মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ‘যেকোনো পুরস্কার পাওয়া অত্যন্ত গর্বের ব্যাপার। নগদ সব সময় নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে মানুষের পাশে থাকতে চায়। সেই পথে আমাদের উদ্ভাবন যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের পুরস্কার পেল, এটা পুরো দেশের জন্য একটা অর্জন। সমস্ত নগদ পরিবারের পক্ষ থেকে আমি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ’
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত তিনদিনের এ আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টলের পাশাপাশি ছিল নগদের আকর্ষণীয় একটি স্টল। সেখানে মানুষের ভিড় জমেছিল নগদের বিভিন্ন সুবিধা ও ফিচার সম্পর্কে জানতে। এছাড়া এ স্টলে ভিআর ফুটবল খেলার ব্যবস্থা ছিল, যা অনেক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
এ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজন করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ পুরস্কার। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে নগদকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে মাত্র চার বছরেরও কম সময়ে নগদের উন্নতি এবং উদ্ভাবনকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অসাধারণ দুটি অবদান রেখেছে নগদ। প্রথমত তারা *১৬৭# ডায়াল করে কোনো জটিলতা ছাড়া তাৎক্ষণিক এমএফএস অ্যাকাউন্ট খোলার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এর ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিতে এসেছে কয়েক কোটি প্রান্তিক মানুষ। এছাড়া ডিজিটাল কেওয়াইসি উদ্ভাবনের ভেতর দিয়ে কাগজমুক্ত অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি বাংলাদেশে প্রথম চালু করেছে নগদ। এর ফলে মানুষের সময় ও জটিলতা অনেক সাশ্রয় হয়েছে। বর্তমানে এ পদ্ধতি অনুসরণ করে আরও অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সেবা দিচ্ছে।
মাত্র চার বছরেরও কম সময়ে নগদের গ্রাহক সংখ্যা এখন সাত কোটির বেশি। এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে দৈনিক ৭৫০ কোটি টাকা লেনদেন করছে, যা কখনো কখনো এক হাজার কোটি টাকাও স্পর্শ করেছে। এছাড়া মাত্র তিন বছরে এ প্রতিষ্ঠানটি সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতাদের তালিকায় চলে এসেছে। এ ছাড়া নগদ বিশ্বের দ্রুতবর্ধনশীল ফিনটেক হিসেবে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
আরবি