ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

দেশীয় শিল্পের চাহিদা মেটাতে সক্ষম ওয়ালটন উৎপাদিত এইচএমপিএস অ্যাডহেসিভ

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩
দেশীয় শিল্পের চাহিদা মেটাতে সক্ষম ওয়ালটন উৎপাদিত এইচএমপিএস অ্যাডহেসিভ

ঢাকা: কাঠ, কাগজ কিংবা প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য তৈরিতে প্রয়োজন এইচএমপিএস অ্যাডহেসিভ বা আঠার।  

এইচএমপিএস অ্যাডহেসিভ বিশেষ ধরনের কেমিক্যাল যা এতোদিন পুরোপুরি আমদানি নির্ভর ছিল।

বর্তমানে এ পণ্যটি উৎপাদন করছে ওয়ালটন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ইতোমধ্যেই সাশ্রয়ী দামে দেশের বিভিন্ন এডিবল অয়েল কোম্পানি, প্যাকেজিং, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ও বুক বাইন্ডিং প্রতিষ্ঠানে হট মেল্ট গ্লু সাপ্লাই দিচ্ছে ওয়ালটন।  

এরই ধারাবাহিকতায় ফিল্টারে ব্যবহারযোগ্য এইচএমপিএস অ্যাডহেসিভ পণ্য উৎপাদন করছে ওয়ালটন। যা ব্যবহার করছে দেশের অটোমোটিভ ফিল্টার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অটোকম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডসহ অন্যান্য বিভিন্ন কোম্পানি।

জানা গেছে, দেশে হট মেল্ট অ্যাডহেসিভের বাৎসরিক মার্কেট শেয়ার ১৫০ কোটি টাকার বেশি। যার পুরোটাই উৎপাদনে সক্ষম ওয়ালটন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ।

জার্মানি থেকে আনা উন্নত প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সাহায্যে ইনোভেটিভ, মোডিফায়েড এবং হাই-গ্রেড কাঁচামাল ব্যবহারের মাধ্যমে সুরক্ষিত পরিবেশে তৈরি হচ্ছে অ্যাডহেসিভ। প্রতিটি পণ্যের শতভাগ কোয়ালিটি নিশ্চিত করছে ওয়ালটন। যা উন্নত বিশ্বের যে কোনো কোম্পানির এইচএমপিএস অ্যাডহেসিভের সমমানের।

ওয়ালটন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) রেজাউল ইসলাম মিনার বলেন, মোট সাত ধরনের অ্যাডহেসিভ তৈরি হচ্ছে ওয়ালটনের অত্যাধুনিক প্রোডাকশন প্লান্টে। যার মধ্যে রয়েছে হট মেল্ট প্রেসার সেনসেটিভ গ্লু, হট মেল্ট উড গ্লু, হট মেল্ট কার্টুন ক্লোজিং গ্লু, হট মেল্ট বুক বাইন্ডিং গ্লু, হট মেল্ট সোপ রেপিং গ্লু, হট মেল্ট স্ট্র গ্লু, হট মেল্ট এয়ার ফিল্টার গ্লু। উন্নত মান বজায় রেখে দেশেই নিজস্ব প্রোডাকশন প্লান্টে তৈরি হওয়ায় আমদানিকৃত পণ্যের তুলনায় অনেক কম দামে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে ওয়ালটনের অ্যাডহেসিভ পণ্য। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশংসিত হয়েছে ওয়ালটন অ্যাডহেসিভ পণ্যের গুণগতমান।

তিনি বলেন, যেহেতু ওয়ালটন এখাতে স্বংয়ংসম্পূর্ণ; তাই বিদেশ থেকে এইচএমপিএস অ্যাডহেসিভ জাতীয় এসব পণ্য আমদানি করা অপ্রয়োজনীয় এবং বৈদেশিক মুদ্রার অপচয়। দেশীয় পণ্যের ব্যবহার উৎসাহিত করতে সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে এসব পণ্যের আমদানি বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের সময় এখনই। আমদানি নির্ভরতা কমলেই অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে দেশ। ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের চাহিদা মিটিয়ে এই পণ্যটি রপ্তানিমুখী করাই আমাদের টার্গেট।

কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের কর্মকর্তারা জানান, চলতি মাসের ১০ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্সড কম্পোনেন্টস অ্যান্ড টেকনোলজি (এটিএস) এক্সপো-২০২৩’ তে প্রদর্শিত হয়েছে ওয়ালটন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের ইনোভেটিভ বিভিন্ন অ্যাডহেসিভ পণ্য। এসব পণ্য দর্শনার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এক্সপো পরিদর্শনে আসা কয়েকটি কোম্পানির কর্মকর্তারা তাদের উৎপাদিত ফিল্টারে ওয়ালটনের অ্যাডহেসিভ ব্যবহারের আগ্রহ দেখিয়েছেন।

দেশের শীর্ষ অটোমোটিভ ফিল্টার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অটোকম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। বিভিন্ন পণ্য তৈরিতে তারা ওয়ালটনের ফিল্টার গ্লু ব্যবহার করছে।

প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুর রহমান ওয়ালটনের অ্যাডহেসিভ পণ্যের দামে ও গুণগতমানে সন্তুষ্ট।

আব্দুর রহমান জানান, ২০০৮ সাল থেকে সুনামের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ফিল্টার যেমন এয়ার, কেবিন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল, ওয়েল, এনভায়রনমেন্ট ও পলিউশন কন্ট্রোল ইত্যাদি তৈরি করছে অটোকম। আগে প্রতিষ্ঠানটি আমদানিকৃত গ্লু ব্যবহার করলেও এখন তাদের সব ফিল্টারে ওয়ালটনের তৈরি অ্যাডহেসিভ পণ্যের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। এ আঠার ব্যবহার তাদের পণ্য টেকসই করে তুলছে। ওয়ালটন বাংলাদেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। পণ্য উৎপাদনে তারা পরীক্ষিত। সাশ্রয়ী দামে টেকসই আঠা ব্যবহারে বাংলাদেশে ওয়ালটনের বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।