ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মামলায় দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক ও প্রকাশক এ এম এম বাহাউদ্দীনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল।
রোববার(০৩ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান এ এম এম বাহাউদ্দীন।
২০১৪ সালের ১৮ আগস্ট ‘প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে একচ্ছত্র আধিপত্য এক পুলিশ কর্মকর্তার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইনকিলাব। যাতে বলা হয়, ‘পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত পুলিশের এআইজি প্রলয় কুমার জোয়ার্দার পুলিশ বাহিনীতে তৈরী করেছেন অঘোষিত হিন্দু লীগ’।
পরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা ও আইসিটি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে পুলিশ সদর দফতরে কর্মরত পুলিশের এআইজি প্রলয় কুমার জোয়ার্দার তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ইনকিলাবের প্রকাশক ও সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে আসামি করা হয়।
আদালতে ইনকিলাবের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ আহমেদ গাজী। তিনি জানান, এ মামলার আসামি দৈনিক ইনকিলাবের বার্তা সম্পাদক রবিউল্লাহ রবি হাইকোর্টের জামিনে আছেন। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক পলাতক।
মামলার পর ২০১৪ সালের ১৯ আগস্ট রাত পৌনে ১২টায় রাজধানীর আর কে মিশন রোডে ইনকিলাবের কার্যালয় থেকে রবিউল্লাহ রবিকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান রবি।
এর আগেও ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি রাতে ‘সাতক্ষীরায় অপারেশনে ভারতীয় বাহিনীর সহায়তা’ শিরোনামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দৈনিক ইনকিলাবের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। পত্রিকাটির প্রেসও সিলগালা করে দেওয়ায় পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়।
ওই ঘটনায় রাজধানীর ওয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি যোগাযোগ আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।
পরে একই বছরের ০২ ফেব্রুয়রি পত্রিকাটির সিনিয়র সাংবাদিক আফজাল বারীর আবেদনে জব্দকৃত মালামাল ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন সিএমএম আদালত। ফলে ০৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের ইনকিলাব পত্রিকা বের হয়।
সে সময়ও গ্রেফতার হয়েছিলেন বার্তা সম্পাদক রবিউল্লাহ রবি। ওই মামলায়ও জামিন পেয়েছিলেন রবি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৬
এমআই/এএসআর