রাজশাহী: রাজশাহীর আদালত প্রাঙ্গণে এজলাস সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। এতে স্বাভাবিক কাজ-কর্মে ব্যঘাত ঘটছে।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী বছরের জুন নাগাদ ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ করা যাবে।
এজলাস সংকট এড়াতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে। ভবনটির নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৪ সালের জুন মাসে। প্রস্তাবনা অনুসারে ভবনটি ১২তলা হওয়ার কথা থাকলেও এখন হচ্ছে আটতলা। কিন্তু চার বছরেও এই আটতলার কাজ শেষ হয়নি।
রাজশাহী আইনজীবী সমিতির আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে আদালতের বিচারকরা সিফট করে মামলা চালাচ্ছেন। তারা পালা করে দায়িত্ব পালন করায় মামলাজটও বাড়ছে।
অ্যাডভোকেট আবু মোত্তালিব বাদল বাংলানিউজকে বলেন, যতোদিন যাচ্ছে মামলার সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু সেই তুলনায় এতো বছরে এজলাস বাড়েনি। ফলে নতুন আদালত ভবন নির্মাণ শুরু হওয়ায় তারা এ সমস্যার সমাধান পাবেন বলে আশা করছিলেন। কিন্তু এতো দিনেও কাজ শেষ না হওয়ায় হতাশ হয়েছেন। মামলাজটে বিচারপ্রার্থীরাও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাই ভবনটির কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানান তিনি।
রাজশাহী আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু চার বছরেও কাজ শেষ না হওয়ায় বিচারিক কাজে বিঘ্ন ঘটছে। এজলাস সঙ্কটের কারণে বিচারকরা স্বস্তিতে তাদের কার্যক্রম চালাতে পারছেন না। তাই এরই মধ্যে তারা ঊর্ধ্বতন মহলেও বিষয়টি জানিয়েছেন। আশা করছেন, দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।
রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুস জহির বাংলানিউজকে বলেন, ‘গণপূর্ত বিভাগকে সব সময়ই তাগাদা দিচ্ছি কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য’।
তিনি জানান, সম্প্রতি রাজশাহী সফরের আসেন আইন সচিব। তিনি ভবনটির নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়ে গেছেন। কাজটি শেষ হলে এজলাসের সংকট দূর হবে। বিচার কাজে আরো গতি আসবে। এজন্য তারা প্রতিনিয়ত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান আবদুস জহির।
রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে জানান, ২০১৪ সালের জুন মাসে ভবনটির নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিছু জটিলতায় নির্ধারিত সময়ে কাজটি শেষ হয়নি।
তবে ২০১৭ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজটি শেষ করা যাবে। কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা ভবনটি হস্তান্তর করবেন। সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ এগিয়ে চলছে বলেও জানান ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৬
এসএস/আরআইএস/এএসআর