তদন্ত কমিটির সুপারিশ এবং আদালতের এমন সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির সদস্য সিলেট জেলা মুখ্য বিচারিক হাকিম আব্দুল হান্নান। এ সময় জেলা ও দায়রা জজ মনির আহমদ পাটোয়ারিও উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল হান্নান বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে তিনটি সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশের প্রেক্ষিতে জেলা ও দায়রা জজ রিপন আহমদ ভুট্টোকে হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতির নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া রিপন আহমদ ভূট্টো, তার আইনজীবী শাহ আলম, শিক্ষানবীশ আইনজীবী শামীম আহমদ ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দালাল লিয়াকত হোসেনের বিরুদ্ধে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপারকে প্রতারণা মামলা দায়ের করতে বলা হয়েছে। আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বার কাউন্সিলকে ও স্থানীয় বার অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়কে দালালমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর নগরী থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন আলী আকবর সুমন (২৪)। পরদিন মোগলগাঁও ইউনিয়নের হাউসা গ্রামের পাশে ঝিলকার হাওরে কচুরিপানার নিচে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই আলী আহসান সুহেল বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিচার শেষে ২০১২ সালের ২০ জুন আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারক দিলীপ কুমার দেবনাথ। মামলার ৯ আসামির মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- হাউসা গ্রামের মৃত মছকন্দর আলীর ছেলে দরাছ মিয়া ওরফে গয়াছ (পলাতক) ও তার স্ত্রী রুজিনা বেগম (পলাতক) এবং একই গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে মো. ইকবাল হোসেন বকুল (পলাতক)।
কারাগারে থাকা রিপন আহমদ ভূট্টো ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর আদালতে হাজির হয়ে নিজেকে ইকবাল হোসেন বকুল দাবি করেন। আদালতের নির্দেশে এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন। মূল আসামি ইকবাল হোসেন বকুল বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করছেন।
কারাভোগের এক বছর দুই মাস পর মহানগর মুখ্য হাকিম আব্দুল হান্নানকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন জেলা ও দায়রা জজ মনির আহমেদ পাটোয়ারি।
গত মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ মনির আহমেদ পাটোয়ারির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন কমিটি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘন্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
এনইউ/এএসআর