মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিলটি দাখিল করেন তারেক সাঈদের আইনজীবী আহসান উল্লাহ।
এর আগে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) খালাস চেয়ে একই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন।
গত ১৬ জানুয়ারি চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলার রায়ে নূর হোসেন ও র্যাবের বরখাস্তকৃত তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত। এ মামলার ৩৫ জন আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত ৩৫ আসামির মধ্যে ১২ জন পলাতক। গ্রেফতারকৃত ২৩ জনের মধ্যে ১৮ জনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে ও ৫ জনকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ ও পার্ট-২ এ রাখা হয়েছে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এ থাকা তারেক সাঈদ ফাঁসির আসামিদের মধ্যে দ্বিতীয় হিসেবে জেল আপিল করেন।
পরে ২২ জানুয়ারি ১৬৩ পাতার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। ওইদিনই পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি, জুডিশিয়াল রেকর্ড, সিডিসহ বিভিন্ন নথিপত্র (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পৌঁছে দেন দেন বিচারিক আদালতের কর্মকর্তারা।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার কাছে উপস্থাপন করা হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছেন, পেপারবুক তৈরি হওয়ার পর এ মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
ইএস/এএসআর