সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) আসামিদের করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রাবেয়া ভূঁইয়া ও বাহাউদ্দীন আল রাজী।
আবদুল লতিফকে হত্যার ঘটনায় চাক্ষুস সাক্ষী না থাকায় হাইকোর্ট আসামিদের খালাস দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল। তবে, হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলেও জানান তিনি।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রাত দেড়টার দিকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার মার্দাসাদী গ্রামের আব্দুল লতিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই আড়াইহাজার থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই আব্দুল হান্নান। এ মামলায় ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের আদালত এ মামলার রায় দেন। রায়ে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও ২১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
একই বছর মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন। সেই ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট সব আসামিকে খালাস দেন।
বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন- মো. বারেক, ওমর আলী, সোহেল ওরফে শফি, আফাজ উদ্দিন ও শওকত আলী। এর মধ্যে ওমর আলী মারা গেছেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- শহীদ, হেলাল, নুর ইসলাম, ইউনুছ, কফিল উদ্দিন, মঞ্জুরুল, আফাজ উদ্দিন, আফসার উদ্দিন, আক্তার, আলা উদ্দিন, হক সাব, সামসুল হক, কামাল, কালাই, দেলোয়ার, আক্তার, হাচেন আলী, তাইজ উদ্দিন ও আলম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
জেপি/জিপি/পিসি