আপিলকারীরা হলেন- প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাব-১১’র চাকরিচ্যুত সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানা, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, হাবিলদার এমদাদুল হক, হিরু মিয়া, ল্যান্সনায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দু বালা ও সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর এবং নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু, আবুল বাশার ও রহম আলী।
বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।
আদালতে নূর হোসেন ও আরিফ হোসেনের পক্ষে ছিলেন তাদের আইনজীবী লুৎফুর রহমান।
গত ১৬ জানুয়ারি চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলার রায়ে নূর হোসেন ও র্যাবের বরখাস্তকৃত তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত। এ মামলার ৩৫ জন আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত ৩৫ আসামির মধ্যে ১২ জন পলাতক। গ্রেফতারকৃত ২৩ জনের মধ্যে ১৮ জনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে ও ৫ জনকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ ও পার্ট-২ এ রাখা হয়েছে।
পরে ২২ জানুয়ারি ১৬৩ পাতার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। ওইদিনই পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি, জুডিশিয়াল রেকর্ড, সিডিসহ বিভিন্ন নথিপত্র (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পৌঁছে দেন দেন বিচারিক আদালতের কর্মকর্তারা।
গত ২৯ জানুয়ারি সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার কাছে উপস্থাপন করা হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দেন তিনি।
এরপর খালাস চেয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জেল আপিল করেন আসামিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭
ইএস/এএসআর