একই মামলার ওই ৫ আসামি হলেন- ইসহাক,আব্দুল গণি হাওলাদার, আব্দুল আওয়াল ওরফে মৌলবী আওয়াল, আব্দুস সাত্তার প্যাদা ও সুলাইমান মৃধা।
বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে ২ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ০৯ জানুয়ারি ওই ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে আদেশের দিন ০৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
গত বছরের ০৪ মে ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা। এর ভিত্তিতে ১৩ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করেন প্রসিকিউশন।
তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ১৫ নারীকে ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ১৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে এখনো ৮ জন বীরাঙ্গনা জীবিত আছেন।
এ মামলার তদন্ত শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর। ১ বছর ৫ মাস ৯ দিন তদন্ত করে ৫০৮ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সত্য রঞ্জন রায়। মামলার অভিযোগ প্রমাণের জন্য ৫১ জনের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে, যারা সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেবেন।
২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর ০১ অক্টোবর তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
ইএস/এএসআর