বুধবার (১ মার্চ) রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে পাঠানো হয়।
হত্যাচেষ্টা মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য বুধবার মহানগর মুখ্য হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে দিন ধার্য ছিল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, যেহেতু বদরুল আদালতে খাজিদাকে হত্যাচেষ্টার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাই ৩৪৭ ধারায় আদালতের দৃষ্টিতে এনেছি যে, আমরা হত্যাচেষ্টা প্রমাণ করতে পেরেছি। কিন্তু বিচারিক আদালতে এ মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে। সে কারণে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণে মামলাটি মহানগর আদালতে পাঠানোর আবেদন করেছি।
বিচারক দরখাস্ত আমলে নিয়ে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করেছেন।
আইনজীবী বলেন, রোববার (৫ মার্চ) মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামালার পরবর্তী কার্যক্রমের দিন ধার্য করা হয়েছে। ওই তারিখে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হতে পারে। তবে বুধবার মামলার একমাত্র আসামি বদরুলকে আদালতে হাজির করলেও খাদিজা হাজির হননি।
গত বছরের ৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে হামলার শিকার হন সরকারি মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী খাদিজা। প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে তাকে গুরুতর জখম করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
এনইউ/এএটি/এইচএ/