আগামী ০৫ এপ্রিল হাজির হয়ে তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২০ মার্চ) বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ওসিকে তলব করেন।
রুলে নিহত ব্যক্তির স্ত্রীর অভিযোগ এজাহার হিসেবে কেনো গণ্য করা হবে না- তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার (এসপি) এবং বাঁশখালী থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন নিহত মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী রুমি আক্তার। রিটে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় সভা উপলক্ষে স্থানীয় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন মোহাম্মদ আলী। গত ০১ ফেব্রুয়ারি গণ্ডামারার আভাইত্যার ঘোনা এলাকায় পুলিশ ও নৌ-বাহিনীর সদস্যদের সামনে সংঘাতে জড়ায় দু’পক্ষ। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মোহাম্মদ আলীকে গুরুতরভাবে আঘাত করে বিরোধীপক্ষ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ওই দিন রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
এরপর নিহতের স্ত্রী রুমি আক্তার স্বামী হত্যার অভিযোগে ২৯ জনকে আসামি করে বাঁশখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। তবে অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেয়নি পুলিশ।
পরে হাইকোর্টে রিট করেন রুমি আক্তার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
ইএস/জিপি/এএসআর