বুধবার (০৩ মে) ৩৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।
গত ০৪ এপ্রিল শিশু রাকিব হত্যার দায়ে গ্যারেজ মালিক শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টু খানকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।
রাকিব হত্যার ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিল খারিজ এবং বিচারিক আদালতের রায় পরিমার্জন করে এ রায় দেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
দেশের ইতিহাসে বিচারিক আদালতে স্বল্প সময়ে বিচার নিশ্চিত হওয়ার পর গত ১০ জানুয়ারি হাইকোর্টে শিশু রাকিব হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে গত ২৯ মার্চ রায়ের দিন ০৪ এপ্রিল ধার্য করেন উচ্চ আদালত।
হাইকোর্টে ১১ কার্যদিবসের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম ও বিলকিস ফাতেমা। আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এএসএম আবদুল মুবিন ও গোলাম মো. চৌধুরী আলাল।
পরে আলাল বলেন, ‘রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিলো না আসামিদের। তারা বুঝতে পারেননি যে, ওই কাজ করলে ভিকটিমের মৃত্যু হবে। এছাড়া ঘটনা ঘটার পর আসামিরা পালিয়ে না গিয়ে তাকে (রাকিব) নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে গেছেন, রক্ত দিয়েছেন। এসব বিষয় বিবেচনা করে আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং জরিমানার আদেশ দেন’।
‘আমরা রায়ে আংশিক ন্যায়বিচার পেয়েছি। আসামিপক্ষ আপিল করবেন’।
জহিরুল হক জহির বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পরে আপিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২০১৫ সালের ০৩ আগস্ট বিকেলে খুলনার টুটপাড়ায় শরীফ মোটরস নামে মোটরসাইকেলের গ্যারেজে নির্যাতন চালিয়ে রাকিবকে হত্যা করা হয়। পরের দিন রাকিবের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে গ্যারেজ মালিক শরীফ, শরীফের সহযোগী মিন্টু খান ও মা বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ মামলায় খুব অল্প সময়ে বিচারকাজ শেষে ওই বছরের ০৮ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন বিচারিক আদালত।
রায়ে মো. শরীফ ও মিন্টু খানকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিউটি বেগমকে খালাস দেন আদালত।
এ রায় ঘোষণার দ্বিতীয় দিনে নিম্ন আদালতের রায়ের নথিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে পৌঁছে। পরে খালাস চেয়ে জেল আপিল করেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি।
বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৭
ইএস/এএসআর