এসবের মধ্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দুর্নীতির মামলার রায় ঘোষণা করার জন্য হাইকোর্টে ০৯ মে দিন ধার্য রয়েছে । ১৪ মে আপিল বিভাগে রিভিউ শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে আমৃত্যু কারাবাসে থাকা জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার ।
এছাড়া বিচারকদের অপসারণে সংসদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে করা ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানির জন্য ৮ মে দিন ধার্য রয়েছে।
এরশাদের মামলা:
দুর্নীতির মামলায় এরশাদের সাজা বহাল থাকবে কি থাকবে না, জানা যাবে ০৯ মে। বিচারপতি মো.রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।
১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ০৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো সেনানিবাস থানায় এরশাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করে।
এ মামলায় ১৯৯২ সালের ০৩ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত এরশাদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন এরশাদ। পাশাপাশি সরকারও দুটি আপিল করে।
দুদকের উদ্যোগের পর গত বছরের ৩০ নভেম্বর শুরু হয়ে এ মামলার আপিল শুনানি শেষ হয় গত ০৯ মার্চ। ওইদিন এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৩ এপ্রিল দিন ধার্য করা হলেও সরকারের দুটি আপিলের শুনানি না হওয়ায় রায় ঘোষণা করা হয়নি। পরে তিনটি আপিলের শুনানি সম্পন্ন হওয়ার পর ০৯ মে রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়।
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলা:
মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আপিলের পর ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সাঈদীর দণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন।
এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর গত বছরের ১২ জানুয়ারি সাঈদীর সর্বোচ্চ দণ্ড চেয়ে রিভিউ আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এছাড়া সাঈদীও খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন করেন।
দীর্ঘদিন পরে কার্যতালিকায় আসার পর আসামিপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ০৬ এপ্রিল রিভিউ শুনানির জন্য ১৪ মে দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের আপিল শুনানি:
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানে ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর নয়জন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন। প্রাথমিক শুনানির পর একই বছরের ৯ নভেম্বর এ সংশোধনী কেন অবৈধ, বাতিল ও সংবিধানপরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের ১০ মার্চ এ রুলের শুনানি শেষে একই সালের ০৫ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।
এ রায় প্রকাশের পর আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর আপিল শুনানিতে ১২ জন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়ে শুনানির জন্য ৭ মার্চ দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। কিন্তু ৭ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির জন্য ফের ০৮ মে দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ২২২২ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৭
ইএস/জেএম