বুধবার (১৭ মে) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৫ সদস্যের বেঞ্চে পাঁচটি আপিলের শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেন।
২০০৫ সালের ১৮ অক্টোবর চিকিৎসক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।
পরে আইন লঙ্ঘন করে এসব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বর্তমান সভাপতি ইকবাল আর্সলান।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০০৬ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারির পাশাপাশি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগের প্রক্রিয়ার কার্যক্রম স্থগিত করেন। পরে ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট চিকিৎসকদের নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে ২০১০ সালের ১৪ ডিসেম্বর রায় দেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল (লিভ টু আপিল) করেন চিকিৎসক খায়রুন নাহারসহ অন্যরা। ২০১৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি লিভ টু আপিল খারিজ করে হাইকোর্টে রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
চিকিৎসকরা রিভিউ আবেদন করলে ৪ সেপ্টেম্বর তাদেরকে আপিল করার অনুমতি দেন। পরে ১৩৮ জন চিকিৎসক ৫টি আপিল করেন। এসব আপিলের শুনানি শেষে বুধবার রায়ের জন্য ২১ মে দিন ধার্য করেন।
আদালতে চিকিৎসকদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, আমীর-উল ইসলাম ও কামরুল হক সিদ্দিকী। বিএসএমএমইউ’র পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম ও ব্যারিস্টার তানজীব-উল-আলম।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৬
ইএস/জিপি/জেডএস