ওই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৫ পরীক্ষার্থীর করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২২ মে) হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
গত ২১ এপ্রিল বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর ইডেন কলেজ, লালমাটিয়া কলেজ ও সেন্ট্রাল রোডের আইডিয়াল কলেজ কেন্দ্রে ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে অনেক পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করেন। তবে ওই পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ সত্যি নয়’।
গত বছরের ১০ মার্চ ৮৩৪টি পদের বিপরীতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি। এ পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। গত ২৪ মার্চ সকাল ও বিকালে প্রাথমিক বাছাই (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আড়াই লাখ প্রার্থী তাতে অংশ নেন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ১৫০ জন। পরে ২১ এপ্রিল নয় হাজার ৪০০ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অতল করসহ ১৫ জন চাকরি প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।
জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ ছাড়াও আদালত রুল জারি করেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্তে ও পরীক্ষার ফলাফল বাতিলে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
বিবাদীরা হলেন- অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং জনতা ব্যাংকের এমডি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
ইএস/জিপি/এএসআর