মঙ্গলবার (৩০ মে) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত বিচারপতির বেঞ্চে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে আইনি সহায়তাকারী) হিসেবে ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ফিদা এম কামাল এবং নতুন করে আব্দুল মতিন খসরু মতামত দেওয়া সম্পন্ন করেছেন।
এরপর আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আগামী ১ জুন (বৃহস্পতিবার) দিন ।
এর আগে কয়েকদিনে অ্যামিকাস কিউরির মতামত দিয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী টিএইচ খানের পক্ষে তার ছেলে আইনজীবী আফজাল এইচ খান, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া ও এ এফ হাসান আরিফ।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পাওয়া ১২ জন অ্যামিকাস কিউরির মধ্যে মতামত দেওয়া বাকি রয়েছে রফিক-উল হক ও শফিক আহমেদের।
গত ৮ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত আপিল শুনানির ৬ কার্যদিবসে যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন করেন আপিল আবেদনের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা এবং রিট আবেদনের পক্ষে মনজিল মোরসেদ। শুরুতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় পড়ে শোনান মুরাদ রেজা।
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়।
সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয় আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ০৯ নভেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এ রুলের শুনানি শেষে গত বছরের ০৫ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ।
এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৯
ইএস/জিপি/এএ