প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ সোমবার (০৫ জুন) হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে করা ওই মামলার আসামি মেজর নাজমুলের আবেদন খারিজ করে এই আদেশ দেন।
আদালতে পলিনের পরিবারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
এর আগে ০৬ এপ্রিল এ বিষয়ে বিচারিক আদালতের অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন খারিজ করে রায় দেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এর বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করেন ওই মামলার আসামি মেজর নাজমুল।
২০০৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ ক্যাডেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শার্মিলা শাহরিন পলিন মারা যান। ওই ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে। কিন্তু ঘটনার ৮ দিন পর হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তার বাবা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ আসে। জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিন ঘটনাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
২০১৩ সালের ২২ মে দাখিল করা বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যাডেট কলেজের মিল্ক ব্রেকের সময় শার্মিলা শাহরিন পলিনের হত্যাকাণ্ড ঘটে। প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচারের সঙ্গে জড়িত ওই কলেজের অ্যাডজুট্যান্ট মেজর নাজমুল হক, এনসিও সার্জেন্ট নওশেরুজ্জামান, সিকিউরিটি গার্ড হেনা বেগম, মেজর মুনির আহাম্মদ চৌধুরী এবং কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/২০২/২০৩/৩৪ ধারার অধীনে অপরাধের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।
গত বছরের ৩ মার্চ ময়মনসিংহের জেলা ও দায়রা জজ মো. আমিরউদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ এবং মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে আসামি পক্ষ। যার শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন ও মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। চলতি বছরের ২২ মার্চ (বুধবার) ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ০৬ এপ্রিল রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪১ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৭
ইএস/আইএ