বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (০৪ জুলাই) এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরের ৯০ নম্বর সড়কের ফুটপাতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার (৫০)। নেদারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিওবিডি কো-অপারেশনের ‘প্রফিটেবল অপরচুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি’ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক হিসেবে এদেশে কর্মরত ছিলেন তিনি।
এ ঘটনার পরদিন রাতে আইসিসিওবিডি’র বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি হেলেন সাফ ভ্যান ডাক বিক বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় গত বছরের ২৫ অক্টোবর কাইয়ুমসহ ৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত।
অভিযোগে বলা হয়, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল- একজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করে দেশে-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই এ পরিকল্পনা করা হয়।
কাইয়ুম ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- তার ভাই আবদুল মতিন, তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল ওরফে শ্যুটার রুবেল, রাসেল চৌধুরী ওরফে চাক্কি রাসেল, মিনহাজুল আরেফিন রাসেল ওরফে ভাগনে রাসেল, শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরিফ ও মো. সোহেল ওরফে ভাঙারি সোহেল।
গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন আবদুল মতিন, তামজিদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল ও শাখাওয়াত। মতিন ছাড়া বাকি চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কাইয়ুম ও সোহেল পলাতক।
এ অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন এম এ মতিন, যেটি মঙ্গলবার খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারিক আদালতে মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। মামলাটির ৭০ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন ২০ জন। আগামী ১২-১৩ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৭
ইএস/জিপি/এএসআর