সোমবার (১০ জুলাই) বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ জামিন দেন।
রুলে তাকে কেনো নিয়মিত জামিন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
সম্পদের হিসাব বিবরণী চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নোটিশের প্রেক্ষিতে হয়রানির শিকার হতে পারেন এ আশঙ্কায় জামিনের আবেদন করেন বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীন।
আদালতে ওই বিচারপতির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির।
পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করা হবে।
মনিরুজ্জামান কবির বলেন, বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তারপরও দুদক তাকে গ্রেফতার করতে পারে- এমন আশঙ্কা থেকে তিনি জামিনের আবেদন করেছিলেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত তাকে রুলসহ ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন।
২০১০ সালের ১৮ জুলাই সম্পদের হিসাব চেয়ে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনকে নোটিশ দেয় দুদক। পরে নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিনি একই বছরের ২৫ জুলাই হাইকোর্টে রিট আবেদনও করেছিলেন। যে রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ হয়ে যায়।
জামিনের আবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালের ২৫ অক্টোবর তাকে আরও একটি নোটিশ দেয় দুদক। ০৩ নভেম্বর তিনি এ বিষয়ে তথ্য জমা দেন। দীর্ঘদিন পরে গত জানুয়ারি মাসে তার কাছে ব্যাখ্যা চায় দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমানের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যাও দেন তিনি। এরপর গত জুন মাসে একটি পত্রিকায় ওই বিচারপতির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৭
ইএস/জিপি/এএসআর