বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ হুসনে আরা বেগমের আদালত শ্যামল কান্তি ভক্তকে এ জামিন দেন।
এর আগে ১৩ জুলাই শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের মামলাটি বিচারের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়।
শ্যামল কান্তি ভক্তের পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, অ্যাডভোকেট মাসুম, অ্যাডভোকেট জাকির ও অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন।
অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘শ্যামল কান্তি ভক্ত অন্যায় ও প্রতিহংসার শিকার। বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং আমরা প্রত্যাশা করি তিনি সুবিচার পাবেন। ’
ধর্ম অবমাননার অপবাদ দিয়ে গত বছরের ১৩ মে শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছিত করা হয়। এর দুই মাসের মাথায় ১৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে এমপিওভুক্তির প্রলোভনে স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়।
দীর্ঘ তদন্তের পর ৪ জনকে সাক্ষী দেখিয়ে গত ১৭ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশ।
চার্জশিটে অভিযোগ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর এমপিওভুক্ত করে দিতে শ্যামল কান্তি ভক্তকে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ দেন মোর্শেদা বেগম। পরে আরো ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু মোর্শেদা বেগমের এমপিওভুক্তির আবেদনপত্র কোনো স্থানেই পাঠাননি শ্যামল ভক্ত। এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ফেরত চাইলে তিনি গত বছরের ১২ মে কোনো টাকা নেননি বলে অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে মোর্শেদা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তদন্তও করেছেন। গত ২৪ মে শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ওই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেদিন শ্যামল কান্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত।
গত ৩১ মে শ্যামল কান্তি ভক্তকে আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
জিপি