রোববার (১৫ অক্টোবর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শিশু আইনে করা মামলায় আটক মো. দেলোয়ার হোসেন ও হেমায়েত উল্লাহ দেওয়ানের জামিন আবেদনের শুনানিকালে এ আদেশ দেন আদালত।
শিশু আইন সংশোধন করতে প্রায় ১০ মাস আগে দেওয়া নির্দেশ কার্যকর না করায় এ বিষয়ে তাকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং আইন প্রণয়ন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিবকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ঢাকা, কক্সবাজার ও রংপুরে করা পৃথক চার মামলায় বিভিন্ন সময়ে প্রাপ্ত বয়স্ক চার আসামি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। চারটি মামলার মধ্যে দুটি করা হয় শিশু আইনে, অপর দুটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে। পৃথক দুই আইনে দায়ের হওয়া মামলার সাজাও আলাদা।
শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আসামি প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তার বিচার কোন আইনে বা কোন আদালতে হবে সে বিষয়ে গতবছর ১৪ আগস্ট ওই তিন সচিবের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। গতবছর ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হলেও কেউই ব্যাখ্যা দাখিল করেননি। এ কারণে ওইবছরের ৩১ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে রুল জারি হয়। এরপর গতবছর ডিসেম্বরে তারা আদালতকে জানান, শিশু আইন-২০১৩ সংশোধনের মাধ্যমে অস্পষ্টতা দূর করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই আইন সংশোধনের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আদালত সমাজ কল্যাণ সচিবকে তলব করলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
ইএস/আইএ