বিশ্বজিৎ হত্যার দায়ে বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাইফুল ইসলাম সাইফুল ও কাইয়ূম মিয়া টিপু এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত গোলাম মোস্তফা ও এ এইচ এম কিবরিয়াকে খালাস দেন হাইকোর্ট।
সোমবার (০৬ নভেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে ওই চারজনের রায় স্থগিত চেয়ে এ আবেদন করা হয় বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আজই (সোমবার) এ আবেদনের শুনানি হতে পারে’।
নজিবুর রহমান জানান, বিশ্বজিৎ দাস হত্যায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পাওয়ার পর আপিল করা হয়েছে।
গত ০১ নভেম্বর হাইকোর্টের ৮০ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয়।
গত ০৬ আগস্ট দেওয়া ওই রায়ে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ দু’জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন। ২১ আসামির মধ্যে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। পলাতক বাকি ১১ আসামি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি হাইকোর্ট।
বিচারিক আদালতের রায়ে ফাঁসির আদেশ পাওয়া ৮ জনের মধ্যে রফিকুল ইসলাম শাকিল ও রাজন তালুকদারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রয়েছে। তাদের মধ্যে রাজন পলাতক। অন্য ছয়জনের মধ্যে মাহফুজুর রহমান নাহিদ, ইমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন ও মীর মোহাম্মদ নূরে আলম লিমনের সর্বোচ্চ সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। লিমন পলাতক থাকলেও অন্য তিনজন কারাগারে আছেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত যে ১১ আসামির বিষয়ে হাইকোর্ট কোনো মন্তব্য করেননি, তারা হলেন- খন্দকার মো. ইউনুস আলী ইউনুস, তারিক বিন জহুর তমাল, মো. আলাউদ্দিন, মো. ওবায়দুল কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন ইমরান, আজিজুর রহমান আজিজ, আল আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন মোশাররফ।
২০১২ সালের ০৯ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে বিশ্বজিৎকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর এ হত্যা মামলার রায়ে ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম নিজামুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৭
ইএস/এমএ/এএসআর