ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদালত

সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু সোমবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২১
সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু সোমবার

কক্সবাজার: কক্সবাজার টেকনাফের শামলাপুর মেরিন ড্রাইভ সড়কে চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সোমবার (২৩ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে।

সোম, মঙ্গল ও বুধবার (২৩-২৫ আগস্ট) একটানা তিনদিন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে ১৫ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহনের কথা রয়েছে।

 

এর আগে, গত ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই তিনদিন সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হলেও লকডাউনের কারণে তা আটকে যায়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের বিধিনিষেধের কারণে হাইকোর্টের নির্দেশে সারাদেশের মতো কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পূর্ব নির্ধারিত ধার্য দিনে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করা যায়নি।  সোমবার  (২৩ আগস্ট) থেকে আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহন শুরু হচ্ছে। চলবে টানা তিন দিন।

পিপি ফরিদুল আলম বলেন, এই মামলায় চার্জশিটভুক্ত মোট ৮৩ জন সাক্ষী আছেন। তাদের মধ্য থেকে ১৫ জনকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালতে হাজির থাকতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে যারা হাজির হবেন তাদের সাক্ষ্য রেকর্ড করা হবে। নির্ধারিত সময়ে স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করা না গেলে পরবর্তীতে আবার সাক্ষীর জন্য সময় দেবেন আদালত।

 ২৭ জুন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে মামলাটির চার্জ গঠন করে। এবং ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই টানা তিনদিন সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯ টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশের চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।  

হত্যাকাণ্ডের চারদিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে। মামলা নম্বর: এসটি-৪৯৩/২০২১ ইংরেজি। জিআর মামলা নম্বর: ৭০৩/২০২০ ইংরেজি। টেকনাফ মডেল থানা মামলা নম্বর: ৯/২০২০ ইংরেজি।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (বর্তমানে বরখাস্ত) পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে। ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশকে করা হয় দুই নম্বর আসামি। মামলার তিন নম্বর আসামি করা হয় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত উপ-পরিদর্শক (বর্তমানে বরখাস্ত) নন্দ দুলাল রক্ষিতকে আদালত মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় কক্সবাজার র‍্যাব-১৫কে।

গত বছরের ৭ আগস্ট মামলার আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তদন্তে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় তিন গ্রামবাসী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও ওসি প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরও সাত জনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। চলতি বছরের ২৪ জুন মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আলোচিত এই মামলার ১৫ আসামির সবাই আইনের আওতায় আসে। বর্তমানে চার্জশিটভুক্ত সকল অভিযুক্ত কারাগারে রয়েছেন।

এ হত্যা মামলার চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ৮৩ জন সাক্ষীসহ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার র‍্যাব-১৫-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। ১৫ জনকে আসামি করে দায়ের করা অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনাথ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২১
এসবি/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।