বিপিএলের গত আসরটা দুর্দান্ত কেটেছে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ৮ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৫ উইকেট।
বছর ঘুরে আবারও দরজায় কড়া নাড়ছে বিপিএল। গতবারের চেয়ে এবার আরও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিতে মুখিয়ে মৃত্যুঞ্জয়। সেজন্য নিজের দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেছেন তিনি। তাই এবার নতুন বলেও আলো ছড়াতে চান চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এই পেসার।
গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ‘অবশ্যই গতবার স্লগে খুব ভালো বোলিং হয়েছিল। তবে নতুন বলে ভালো করার লক্ষ্য ছিল, সেটা করতে পারিনি। এই এক বছরে আমি নতুন বলে নিজেকে তৈরি করেছি। আমার লক্ষ্য আছে নতুন বল ও স্লগ ওভারে যেন নিজের সেরাটা দিতে পারি। আমার দলকে যেন একটা ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে পারি এবং আমার ক্যারিয়ারটাও যেন সুন্দর হয়। ’
গত মাসে বাংলা টাইগার্সের হয়ে আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলেছেন মৃত্যুঞ্জয়। ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন কেবল দুটি। তবে সতীর্থ হিসেবে মোহাম্মদ আমিরকে পেয়ে বেশ খুশিই হয়েছেন তিনি। পাকিস্তানি এই পেসার থেকে কুড়িয়ে নিয়েছেন প্রয়োজনীয় সব টিপস। যা কাজে লাগাতে চান বিপিএলে।
মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ‘হ্যাঁ, একসঙ্গে থাকার কারণে (শেখা হয়েছে)। আমরা সবাই জানি, আমির বিশ্বমানের বোলার। তিনি আমাকে অনেক বড় কোনো টিপস দেননি কিন্তু ছোট ছোট যেগুলো বলেছেন সেগুলো আমার প্রয়োজন ছিল। ’
‘আগে যেসব লিগ খেলতাম সেখানে এক-দুইটা ভুল করলে সমস্যা ছিল না, কিন্তু টি-টেনে আমি যখন প্রথম দুইটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছিলাম ছোট ছোট কিছু ভুল আমাকে ভোগাচ্ছিল। এরপর আমির ভাই আমাকে ছোট ছোট কিছু টিপস দেয় যা আমাকে খুব সাহায্য করে। আর শেষ ম্যাচটা আমি মনে করি আমার জন্য খুব ভালো অভিজ্ঞতা ছিল। এ টুর্নামেন্টে আমাকে সাহায্য করবে। ’
বড় ব্যাটারের সামনে পড়লে আগে ভয় পেতেন মৃত্যুঞ্জয়। কিন্তু এখন সেটা কাটিয়ে উঠেছেন এই পেসার। তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস আগে ভয় পেতাম বড় ব্যাটারের সামনে পড়লে কেমন হবে এরকম। কিন্তু টি-টেন আমাকে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী করে দিয়েছে যে দুনিয়ার যেই থাকুক না কেন আমি আমার সেরাটা দেব এবং ভালো কিছু করব। ’
এদিকে আগামী ৬ জানুয়ারি বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২৩
এএইচএস