ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সিরিজে সমতা ফেরাল শ্রীলঙ্কা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৩
সিরিজে সমতা ফেরাল শ্রীলঙ্কা

শেষ ওভারের জন্য বাকি ছিল কেবল ভানিন্দু হাসারাঙ্গার কোটাই। কিন্তু তার  তৃতীয় ওভারে একাই ২৫ রান নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়ে দেন অক্ষর প্যাটেল।

শেষ ওভারের শুরুতেও তার হাতে স্ট্রাইক। তাই হাসারাঙ্গাকে বল দেওয়ার সাহস পেলেন না দাসুন শানাকা। বরং লঙ্কান অধিনায়ক নিজেই চলে এলেন শেষ ওভারটি করতে। জয়ের জন্য ২১ রানের খোঁজে থাকা ভারতকে ৪ রানের বেশি নিতে দেননি, সঙ্গে দুটি উইকেটও নেন তিনি । যার ফলে ১৬ রানের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় শ্রীলঙ্কা।

পুনেতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু পায় সফরকারীরা। কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিসাঙ্কার উদ্বোধনী জুটিতে রান আসে দ্রুত। কিন্তু মেন্ডিস ৩১ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ৫২ রান করে ফিরলে ভাঙে ৮০ রানের জুটি।  

মেন্ডিসের বিদায়ে রানের চাকা কমতে শুরু করে লঙ্কানদের। মিডল অর্ডার ব্যাটার সেই তাল মিলিয়ে চলতে পারেননি কিন্তু ১৪ ওভারে ক্রিজে এসে গিয়ার বদলে ফেলেন শানাকা। মাত্র ২০ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি। যা শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে দ্রুততম। যার ফলে ৬ উইকেটে ২০৬ রানের সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা। ২২ বলে ২ চার ও ৬ ছক্কায় ৫৬ রানের ঝোড়ো ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন শানাকা।  ভারতের হয়ে উমরান মালিক ৩ টি, অক্ষর ২ টি ও যুজবেন্দ্র চাহাল নেন একটি উইকেট। অন্যদিকে পাঁচটি নো-বল দিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন পেসার অর্শদ্বীপ সিং।

জবাব দিতে নেমে স্বাগতিকরা ৫৭ রানে হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। খাদের কিনারা থেকে  দলকে টেনে তুলেন সূর্যকুমার যাদব। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন অক্ষর। সূর্য ৫১ রানে ফিরলেও অক্ষরে বেঁচে ছিল ভারতের আশা। সঙ্গে শিভাম মাভি ব্যাটে জোর দেখালে আরও উজ্জ্বল হয় জয়ের স্বপ্ন। কিন্তু শেষ ওভারে শানাকার বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের কাছে চমক দেখাতে পারেনি তারা। অক্ষর ৩১ বলে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় করেন ৬৫ রান। শানাকা ছাড়াও লঙ্কানদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন দিলশান মাদুশাঙ্কা ও কসুন রাজিথা।  

তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচটি আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে রাজকোটে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২৩
এএইচএস      
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।