ওলি রবিনসন, ম্যাট হেনরি, প্যাট কামিন্স প্রত্যেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পরিচিত নাম। স্কিল, অভিজ্ঞতা কিংবা ধারাবাহিকতার বিচারে এই পেসারদের ধারে কাছেও নেই এবাদত হোসেন।
গত বছর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডকে টেস্টে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ। সেই ইতিহাসের অন্যতম রূপকার এবাদত। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩২৮ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। বিপরীতে মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক ও লিটন দাসের ফিফটিতে লিড নিয়ে ৪৫৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ফের ব্যাট করতে নেমে এবাদতের তোপের মুখে পড়ে কিউইরা। গুটিয়ে যায় মাত্র ১৬৯ রানেই। রিভার্স সুইংয়ের দুর্দান্ত প্রদর্শনী মেলে ধরে ৪৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন এবাদত। একে একে উইল ইয়াং, ডেভন কনওয়ে, রস টেলর, হেনরি নিকোলস, টম ব্লান্ডেল ও কাইল জেমিসনকে শিকার করেন ডানহাতি এই পেসার। যার ফলে ৪০ রানের লক্ষ্য ৮ উইকেট হাতে রেখেই পাড়ি দেয় টাইগাররা।
টেস্ট অভিষেকের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও নিজেকে প্রমাণ করতে পারছিলেন না এবাদত। তবুও ধারাবাহিকভাবেই টেস্ট দলে রাখা হয় তাকে। গড়ের হিসেবে সবচেয়ে বাজে বোলারদের তালিকাতেও নাম লেখান তিনি। কিন্তু ম্যাচ জেতানো সেই স্পেলের পর কমতে শুরু করে তার বোলিং গড়।
গত বছর এবাদতের চেয়ে উইকেট বেশি নিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু উইজডেনের চোখে কেউই সেই স্পেলকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
এএইচএস