প্রথম ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়েছিলেন ব্যাটাররা। যার ফলে আসরে সর্বোচ্চ সংগ্রহের জন্ম দেয় ফরচুন বরিশাল।
ম্যাচের শুরু থেকেই খুলনাকে বড় রান সংগ্রহের সুযোগ দেয়নি রংপুর। টস জিতে আগে বোলিংয়ের নেওয়া রংপুর অধিনায়ক সোহানের সিদ্ধান্তকে দ্বিতীয় ওভারেই সঠিক প্রমাণ করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ১ রানে থাকা তামিম ইকবালকে কট এন্ড বোল্ড করেন তিনি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে শারজিল খানকেও সাজঘরের পথ দেখান এই আফগান পেসার। এর আগের ওভারে হাবিবুর রহমানকে বোল্ড করেন রাকিবুল হাসান। যার ফলে পাওয়ার প্লের ভেতরই ১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা।
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আজম খানকে সঙ্গে নিয়ে সেই চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ইয়াসির আলী। চতুর্থ উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়েন এই দুজন। কিন্তু হাত খুলে খেলতে গিয়ে রবিউলের বলে নাঈম শেখকে ক্যাচ দেন ইয়াসির (২৫)। সেই ১২ তম ওভারেই সাব্বির রহমানকে ফিরিয়ে রংপুরকে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরান রবিউল। তার সঙ্গে তাল মেলান রাকিবুলও। ভয়ঙ্কর হওয়ার আগেই আজম খানকে তুলে নেন এই স্পিনার। ২৩ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৪ রানে আজম বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খুলনার মজবুত সংগ্রহের সম্ভাবনাটাও ফিকে হয়ে যায়। রবিউল এরপর তুলে নেন আমাদ ভাট ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের উইকেটও। দুটি করে শিকার করেন ওমরজাই ও হাসান মাহমুদ। যার ফলে ২০ তম ওভার শেষ হওয়ার দুই বল আগেই গুটিয়ে যায় খুলনা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
এএইচএস