চট্টগ্রাম থেকে: পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি সবই খেলেছেন হারিস রউফ। বল তো ভালো করেনই, তার সুখ্যাতি আসলে গতির জন্যও।
এদিনও তার বলের গতি উঠেছিল ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার। বল হাতে ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। যদিও পরে হেরেছে তার দল রংপুর রাইডার্স। ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন হারিস। তিনি বলছেন, গতি আসতে হবে সহজাতভাবেই।
তিনি বলেন, ‘জোরে বল করার কথা আমার মাথায় থাকে না। আমি ভালো লাইন-লেন্থে বোলিংয়ের চিন্তা করি। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। উইকেট ও কন্ডিশনের চাহিদা কী, তাও দেখতে হবে। উইকেট যদি স্লো ডেলিভারির জন্য ভালো হয়, তাহলে স্লো করা খারাপ কী! উইকেট যদি গুড লেংথের ডিমান্ড করে তাহলে গুড হার্ড লেন্থ কেন নয়?’
‘আমার মাথায় হার্ড লেন্থে বোলিংয়ের চিন্তা থাকে। এটা গুরুত্বপূর্ণ, গতি নয়। গতি সবসময় সহজাত। ট্রেনিং ও ডায়েট খুব গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচ খেলার পর রিকভারিটা গুরুত্বপূর্ণ। হোটেলে ফেরার পর আপনার ভালো ঘুম, ভালো ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ। ’
তরুণদের রউফের মতো গতিতে বল করতে কী করতে হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পেস বাড়াতে চাইলে... আপনি যদি ১৩০-১৩৫ কি.মি. গতিতে বোলিং করেন, তাহলে আরও ৫ কি.মি. বাড়াতে পারবেন। এমন না যে ৬-৮ মাসের ট্রেনিংয়ের পর আপনি ১৩০-১৩৫ থেকে ১৫০ কি.মি. গতিতে বোলিং করতে পারবেন। এটি মূলত ৫ থেকে ১০ কি.মি. বাড়ানোর বিষয়। ডায়েট ও ট্রেনিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। ’
রউফ বারবার জোর দিয়েই বলেছেন গতিটা আসতে হবে সহজাতভাবে। সঙ্গে বলেছেন খাবারের কথাও। তিনি নিজে কী খান? জানতে চাওয়া হয়েছিল পাকিস্তানি তারকার কাছে। শুরুতে কিছুটা রসিকতাই করেন রউফ। এরপর জানান, পেসারদের জন্য জরুরি প্রোটিন খাবার।
তিনি বলেন, ‘আমার ইন্টারভিউ দেখলে পাবে (হাসি)... ডিম খাই। ডিম থেকে মূলত প্রোটিনটা গ্রহণ করি। ফাস্ট বোলারের জন্য প্রোটিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শরীরে পরিমিত প্রোটিন থাকলে আপনি মাঠে ভালো পারফর্ম করবেন। ’
গতির সঙ্গে একুরেসির বিষয়টি কীভাবে অর্জন করেছেন জানতে চাইলে রউফ বলেন, ‘নেটে বোলিংয়ের সময় নিজের ওপর একটা চাপ তৈরি করে নিতে হয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ। অনুশীলনে ঠিকঠাক করে ফেলতে পারলে মাঠে তা করা সহজ হয়। দিনের পর দিন করতে থাকলে উন্নতি হয়। আমারও ধীরে ধীরে আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
এমএইচবি/এমএইচএম